এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিতে ছিনতাই হওয়া মাল্টিজ জাহাজ ব্যবহার করেছিল জলদস্যুরা
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মাল্টার পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজ রুয়েন ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশের পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর দখল নেওয়ার সময় জলদস্যুরা মাল্টিজ জাহাজটি ব্যবহার করেছিল বলে ধারণা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী।
ইউন্যাভফর বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জানিয়েছে, কমপক্ষে ১২ জন তথাকথিত জলদস্যু এমভি আবদুল্লাহর আরোহণ করেছিল।
আবদুল্লাহর নাবিকেরা নিরাপদে আছেন উল্লেখ করে বাহিনীটি বলেছে, 'সম্ভাবনা আছে যে, এমভি রুয়েন জাহাজ ছিনতাইকারী আর বাংলাদেশি জাহাজের ছিনতাইকারীদের উৎসস্থল একই।'
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সামুদ্রিক নিরাপত্তা ফার্ম অমব্রে বলেছে, 'সন্দেহ করা হচ্ছে, অন্য বাণিজ্য জাহাজের ওপর হামলা পরিচালনা করার জন্য ওই জাহাজটিকে (রুয়েন) মাদারশিপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।'
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সোমালিয়ার বন্দরশহর ইল থেকে ২৯৬ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে থাকা রুয়েন জাহাজটিকে পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে।
২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো রুয়েন জাহাজটি সফলভাবে ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। অমব্রে জানিয়েছে, জাহাজটির জিম্মি নাবিকদের মুক্তির জন্য চাওয়া অর্থ এখনো পরিশোধ করা হয়নি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসাজনিত কারণে জাহাজটির একজন নাবিককে ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা। তবে এখনো ১৭ নাবিক তাদের হাতে বন্দি রয়েছেন।
গত বছরের নভেম্বর থেকে এডেন উপসাগর ও সোমালি বেসিনে ২০টির বেশি ছিনতাই বা ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনা রেকর্ড করেছে ইউন্যাভফর।