ভিকারুননিসায় প্রথম শ্রেণিতে ৪১ সহোদর, জমজকে ভর্তি করানোর নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৩ সেশনের প্রথম শ্রেণিতে ৪১ সহোদর, জমজকে ভর্তি করানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার এই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে বলে, '২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর বা জমজ ভাই/বোনের ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ভর্তি করাতে পারবে।'
কিন্তু ভর্তির জন্য আবেদন করেও ভর্তি করাতে না পেরে ৪১ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ওই রিট করেন। আজ শুনানিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই পরিপত্র স্থগিত করেন আদালত।
এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বিধান কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এক মাসের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী শফিকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন জানান, বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মাধ্যমিক,নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা-২০২২ অনুসারে কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর বা জমজ ভাই/বোন যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে সব সহোদর/জমজকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এই বিধানমতে, ৪১ জন সহোদর/জমজ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে।
কিন্তু ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র দেয়। যেখানে বলা হয়, শুধুমাত্র ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর/জমজ ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে। এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিটটি করা হয়। কারণ তারা যখন আবেদন করে তখন ৫ শতাংশের বিধান ছিল না। এ কারণে আদালত এই ৪১ জনের ক্ষেত্রে ওই বিধান স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। পাশাপাশি তাদের ভর্তি করাতে নির্দেশ দিয়েছেন।