আগ্নিঝুঁকিতে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেট: ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর অন্যতম জমজমাট মার্কেট গাউছিয়া আগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা জোনের প্রধান ও সহকারী উপ-পরিচালক বজলুর রশিদ মার্কেট পরিদর্শন শেষে বলেন, "এই মার্কেটে (গাউছিয়া) অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা- নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং টিম, ফায়ার হাইড্রেন্ট, স্মোক ডিটেক্টর বা আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নেই।"
"অগ্নি দুর্ঘটনায় উদ্ধারের সময় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি প্রয়োজন, কিন্তু এই মার্কেটে ওই পরিমাণ পানির ব্যবস্থা নেই। পরিদর্শনের সময় আমরা কিছু অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম (ফায়ার এক্সটিংগুশার) এবং পানির ব্যবস্থা দেখতে পেয়েছি। তবে এগুলো যথেষ্ট নয়," যোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালে এই মার্কেটে একটি ফায়ার ড্রিল চালানো হয়েছিল। সেই সময়ে কয়েকটি সুপারিশও করা হয়েছিল।
বজলুর রশীদ বলেন, "এগুলোর মধ্যে কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে; কিছু এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।"
গাউছিয়া মার্কেট দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক মোঃ কামরুল হাসান বাবু বলেন, "ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা দুই-তিন দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করব।"
ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশগুলো কেন তারা আগে আমলে নেননি জানতে চাইলে তিনি বিলম্বের জন্য বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিকে দায়ী করেন।
কেন তারা সিঁড়িতে এবং ইমার্জেন্সি এক্সিট বা জরুরি বহির্গমনের রস্তায় দোকান বসানোর অনুমতি দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেন, এটি তার দেখার বিষয় নয়।
ঢাকার বেশির ভাগ মার্কেটই অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বজলুর রশীদ বলেন, "ঢাকার বেশিরভাগ মার্কেটই ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ মেনে চলে না। আমরা আমাদের নিয়মিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে জনাকীর্ণ গাউছিয়া মার্কেট পরিদর্শন করেছি, এই পরিদর্শনের সঙ্গে বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।"
তিনি আরও বলেন, "ঢাকার বেশ কিছু শপিংমল এবং কিচেন মার্কেট ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে ঠাটারিবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট এবং চকবাজারের মার্কেটগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে।"
ফায়ার সার্ভিসের এ পরিদর্শনের সময় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।